ফুডগ্রেডবিহীন ড্রামে ভোজ্যতেল বাজারজাত বন্ধে বাগেরহাটে ক্যাবের মানববন্ধন-স্মারকলিপি

অরিনদম দেবনাথ: অস্বাস্থ্যকর, অনিরাপদ ও ফুডগ্রেডবিহীন ড্রামের ভোজ্যতেল বাজারজাত বন্ধে সরকারি নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন করেছে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) বাগেরহাট জেলা শাখা।

সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেনের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

বাগেরহাট জেলা ক্যাবের সভাপতি বাবুল সরদারের সভাপতিত্বে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান, জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা নাজমুস সুলতানা সীমা, ষাটগম্বুজ ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আখতারুজ্জামান বাচ্চু, টিআইবির সচেতন নাগরিক কমিটি বাগেরহাটের সভাপতি এ্যাড. রামকৃষ্ণ বসু, খানজাহান আলী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ খন্দকার আসিফ উদ্দিন রাখি, জেলা ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অরিনদম দেবনাথ, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নিলয় কুমার ভদ্র, সাধারণ সম্পাদক মধুসুধন দাম, চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক পারভেজ তরফদার, লেখক ও অনুবাদক মোর্শেদুর রহমান সাগর, ব্লাড বাগেরহাটের সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাদু, আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম, সুশুন্ত কুমার দাস সাহেব, উন্নয়ন কর্মী স্বপন বসু, প্রফেসর হেমায়েত হোসেন, শিক্ষক শিরিন সুলতানা, এ্যাড. শিনির আক্তার, এ্যাড. অরবিন্দ কুমার সাহা, মো. কামরুজ্জামান, সোহেল রানা বাবু, বাচ্চু মল্লিক, কামরুজ্জামান মুকুল, দেবাশীষ ঘোষ বাবু প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, আইন অনুযায়ী অনিরাপদ প্যাকেজিং অর্থাৎ ফুডগ্রেড নয় এমন উপকরণে তৈরী প্যাকেজিং-এ ভোজ্যতেল বাজারজাতকরণ দণ্ডনীয় অপরাধ। তারপরও প্রকাশ্যে অস্বাস্থ্যকর, অনিরাপদ এবং ফুডগ্রেডবিহীন ড্রামে ভোজ্যতেল বাজারজাতকরণ হচ্ছে। আমাদের দেশে বাল্ক বা’ খোলা ভোজ্যতেল সরবরাহের জন্য যে ড্রামগুলো ব্যবহার করা হয় তা প্রাথমিক ভাবে রাসায়নিক বা’ কেমিক্যাল দ্রব্য সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণের জন্য ব্যবহার করা হয়। এই পুরাতন ড্রামগুলো শুধু সাবান পানি দিয়ে ধুঁয়ে বাল্ক বা’ খোলা ভোজ্যতেল সরবরাহ ও বাজারজাত করা হচ্ছে। এই ড্রামগুলো ফুডগ্রেড মানের নয়।

ফলে জনস্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকীর মুখে পড়ছে। হার্ট এ্যাটাক, যকৃত, কিডনীসহ অসংক্রামক রোগে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে সরকারের লক্ষ্য বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। এ অবস্থায় জনস্বাস্থ্যবীদ, জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, নীতিনির্ধারক, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম কর্মী, উন্নয়ন সহযোগীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সমন্বিত উদ্যোগে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।